সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া (৪.৬)

অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - বাংলা ব্যকরণ ও নির্মিতি - শব্দ ও পদ | NCTB BOOK
11k
Summary

সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়ার সংজ্ঞা:

  • সকর্মক ক্রিয়া: যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে। উদাহরণ: "মা ভাত রান্না করছেন" - এখানে "রান্না করছেন"-এর কর্ম 'ভাত'।
  • অকর্মক ক্রিয়া: যে ক্রিয়ার কোনো কর্ম নেই। উদাহরণ: "সৌরভ পড়ে" - এখানে "পড়ে"-র কোনো কর্ম নেই।

সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া ব্যবহারের উদাহরণ:

  • সকর্মক ক্রিয়া: আমি টিফিন খেয়েছি।
  • অকর্মক ক্রিয়া: আমি টিফিনে খেয়েছি।

ধাতুক্রিয়া:

  • ধাতু: ক্রিয়ার মূল অংশ।
  • ক্রিয়াবিভক্তি: ধাতুর সঙ্গে যোগ হওয়া অংশ।

ধাতুর প্রকার:

  1. মৌলিক ধাতু: বিশ্লেষণ করা যায় না, যেমন: কর্, চল্।
  2. সাধিত ধাতু: মৌলিক ধাতুর পরে আ-প্রত্যয় যোগ করে গঠিত, যেমন: করা (কর্ + আ)।
  3. যৌগিক ধাতু: বিশেষ্য বা বিশেষণসহ নতুন ধাতু গঠিত, যেমন: ভয় কর্।

সকর্মক ক্রিয়া : যে ক্রিয়া পদের কর্ম থাকে তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে।
বাক্যের ক্রিয়াকে কী বা কাকে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই কর্মপদ। কর্মযুক্ত ক্রিয়াই সকর্মক
ক্রিয়া। যেমন :

                           মা ভাত রান্না করছেন।

এ বাক্যে ক্রিয়াপদ হচ্ছে ‘রান্না করছেন'।

                                     প্রশ্ন : কী রান্না করছেন?

                                     উত্তর : ভাত।

 

অতএব ‘রান্না করছেন' ক্রিয়া পদটির কর্ম হচ্ছে ‘ভাত’। ‘রান্না করছেন' সকর্মক ক্রিয়া।

অকর্মক ক্রিয়া : যে ক্রিয়ার কর্ম নেই, তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন : সৌরভ পড়ে।

সৌরভ কী পড়ে? – এ প্রশ্নের উত্তর নেই। অর্থাৎ এ বাক্যে ‘পড়ে’ ক্রিয়াপদের কোনো কর্ম নেই। তাই ‘পড়ে’ অকর্মক ক্রিয়া।

 

প্রয়োগ-বৈশিষ্ট্যে সকর্মক ক্রিয়া অকর্মক ক্রিয়া হতে পারে। যেমন :

সকর্মক ক্রিয়াঅকর্মক ক্রিয়া
১. আমি টিফিন খেয়েছি।১. আমি টিফিনে খেয়েছি।
২. মাখন রায় গান গাচ্ছে।২. মাখন রায় গানে মজেছে।

 

ধাতু

ক্রিয়ার মূল অংশকে ধাতু বলে।
ক্রিয়া পদকে বিশ্লেষণ করলে দুটো অংশ পাওয়া যায় :

 

১. ধাতু বা ক্রিয়ামূল : কর্, যা, খা, পা, বল্, দেখ্‌, খেল্‌, দে ইত্যাদি। 

২. ক্রিয়াবিভক্তি : আ, ই, ছি, ছে, বে, তে, লে, লাম ইত্যাদি।

 

ধাতু তিন প্রকার। যথা : ১. মৌলিক ধাতু ২. সাধিত ধাতু ও ৩. যৌগিক বা সংযোগমূলক ধাতু।

১. মৌলিক ধাতু : যেসব ধাতু বিশ্লেষণ করা যায় না, তাকে মৌলিক ধাতু বলে। যেমন : কর্, চল্, পড়ু, বড়ু, পা, যা, দে, খা, হ্ ইত্যাদি।

২. সাধিত ধাতু : মৌলিক ধাতু বা নাম-শব্দের পরে আ- প্রত্যয়যোগে যে ধাতু গঠিত হয়, তাকে সাধিত ধাতু বলে। যেমন :

                    কর্ + আ = করা
                    দেখ্‌ + আ = দেখা
                    বল্ + আ = বলা

৩. যৌগিক ধাতু : বিশেষ্য, বিশেষণ বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের সাথে কর্, দে, হ, পা, খা ইত্যাদি মৌলিক ধাতু মিলিত হয়ে যে নতুন ধাতু গঠিত হয়, তাকে যৌগিক বা সংযোগমূলক ধাতু বলে। যেমন : ভয় কর্, ভালো হ্, উত্তর দে, মার খা, দুঃখ পা ইত্যাদি।

Content added || updated By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...